এবার ভাবনার ভাবনায় পরিমিত স্বাজ

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী ভাবনা গত মার্চ মাস থেকে ঘরবন্দী জীবনযাপন করছেন। ঘরে বসেই ছবি আঁকছেন, নাচের চর্চা করছেন, আর সেসবের ছবি ও ভিডিও তুলে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন নানা ধরনের কাজে। ভেবে রেখেছেন কোয়ারেন্টিনে থেকে যতটুকু যা হাতের নাগালে পাবেন, তা দিয়েই ঘরে উদ্​যাপন করবেন ঈদ উৎসব। 

নতুন সাজে নায়কা ভাবনা

এবারের ঈদ উৎসব অন্য বছরের চেয়ে আলাদা হতে যাচ্ছে—ভাবনাও এমনটা ভাবেন। তবে উৎসবের দিনগুলো তো আর পরিস্থিতির কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। তাই অভিনেত্রী ভাবনা মনে করেন সাজ আর পোশাকে ভারসাম্য রেখে ঘরে বসেই উৎসব উদ্​যাপন করা যেতে পারে। ঈদের দিনের পোশাকটি যদি হয় ভারী কাজের, তাহলে সাজে রাখুন সহজাত ও ছিমছাম আমেজ। যেমন অভিনেত্রী ভাবনা বোন অদিতির নকশা করা হলুদ শাড়ির সঙ্গে পরবেন মায়ের গয়না। আর যেহেতু গয়নাটা সোনার, তাই অতিরিক্ত মেকআপ দিয়ে শাড়ির হলুদ আভা আর মায়ের গয়নার আভিজাত্যকে ডেকে দেননি। সাজ আর পোশাকে রেখেছেন সরল ভারসাম্য।

ন্যুড লিপস্টিক সব সময়ের জন্য
যেকোনো উপলক্ষে ন্যুড লিপস্টিক মানানসই হয়ে থাক। তাই ঈদের সকালের হলুদ শাড়ি হোক কিংবা সন্ধ্যার জাঁকালো গোলাপি-রুপালি লেহেঙ্গা—ভাবনা দুই সময়েই ন্যুড লিপস্টিক পরবেন ঠোঁটে। ঘর থেকে কাটানো ঈদটাকে পোশাক দিয়ে রঙিন করবেন, তবে সাজে রাখবেন ঘরকন্নার আমেজ। 

মাসকারাতেই মাত
করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদে বাইরে বেড়াতে যাওয়া, কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো হয়তো হবে না। সেই সময়কে উৎসবমুখর করতে আর মনকে চনমনে-চাঙা রাখতে পরিপাটি পোশাক ও সাজগোজের বিকল্প নেই। অল্পতেই যে সাজ আপনার ব্যক্তিত্বে লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে, ঈদের দিন সেটি বেছে নিতে পারেন। কারও সাজের নিত্য অনুষঙ্গ কাজল, তো কারও টিপ, কেউ আবার হালকা ফাউন্ডেশন দিলেই বদলে যায় চেহারার ক্লান্তিকর ভাব। তাই ঠিক ওই অনুষঙ্গটিই ব্যবহার করেন, যা মুহূর্তেই বাড়ির ভেতরেই আপনার মধ্যে এনে দেবেই ঝলমলে ভাব। যেমন ভাবনা, তিনি জানালেন মাসকারা তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। তাই ঈদের দিনের সাজে আর কিছু না থাকলেও, মাসকারাটা থাকবেই। ভাবনার বললেন, ‘পোশাকেই ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্ব। তবে ঈদের দিন যে সময়টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত ও অনুসারীদের উদ্দেশে ‘লাইভ’ করবেন, তখন হয়তো মাসকারা, ব্লাশনের সঙ্গে ন্যুড লিপস্টিক দিয়ে দাঁড়াবেন ক্যামেরার সামনে।

ভাবনার  এবার ঈদের পোশাক 

ভাবনার বোন অনন্যা ফ্যাশন ডিজাইনার। অদিতি অনন্যা নামে তাঁর নিজস্ব ফ্যাশন পণ্য আছে। সেটির বেশ কিছু নতুন পোশাক এখন সংরক্ষিত আছে বাসায়। তাই ভাবনার এবারের ঈদ হবে বোনের নকশা করা পোশাকে। ছোট ছোট বোতাম বসানো এই শাড়ি নাকি অনন্যা বড় বোন ভাবনার কথা ভেবেই নকশা করেছিলেন। কারণ ছোটবেলা থেকে ভাবনার বোতাম বসানো পোশাকের প্রতি আছে বিশেষ দুর্বলতা।

সন্ধ্যায় শাড়ি থেকে বেরিয়ে ফিউশন ধারায় নকশা করা হালকা কাজের লেহেঙ্গায় সাজবেন তিনি।গোলাপিরঙা স্কার্টের সঙ্গে, রুপালি টপ যোগ করবে উৎসবের আমেজ। যেহেতু সময় খুব হইহুল্লোড় করে উদ্​যাপনের নয়, বরং ঘরেই কাছের মানুষদের সঙ্গে আনন্দ করার; তাই রাতে ভাবনা জাঁকালো কোনো গয়নায় নিজেকে জড়াবেন না। ভারী পোশাকই পূর্ণ করবে উৎসবের ষোলোকলা।